সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সিলেট হাই-টেক পার্কসহ দেশের অন্যান্য হাই-টেক পার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশ্বের ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বে দেবে। দেশের শিল্পক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সিলেট হাই-টেক পার্ক বা ইলেকট্রনিক্স সিটি হবে দেশের অন্যতম সেরা। বাংলাদেশ সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লাভ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশের ডিজিটালে রূপান্তর আজ বিশ্ববাসী অনুসরণ করছে। আমাদের পথে হাটছে ভারতসহ অন্যান্য দেশগুলোও।তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একমাত্র তাঁর একান্তির প্রচেষ্টায় তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণায়লয়কে যে সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন তা অন্য যেকোন মন্ত্রণায়লয় থেকে বেশি। আর এসব কারণেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারকে আরোও সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। এটি যদি বাংলাদেশের মানুষ দেন তবে বাংলাদেশকে কেউ ছুঁতে পারবেও না। ডিজিটাল বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ।মন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি অর্থমন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ হাই-টেক পার্কের জন্য যা যা প্রয়োজন সব করে দিয়েছেন। তাদের কাছে আর কিছুই চাওয়ার নেই। হাই-টেক পার্কের প্রকল্পের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ যেভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তার সুফল অচিরেই পাওয়া যাবে। খুব শিগরিগরই সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি বাস্তবে রূপ লাভ করবে। যেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পাল্টে যাবে গোটা সিলেট বিভাগের চিত্র। সিলেট হয়ে উঠবে সত্যিকারের ডিজিটাল সিটি। আর হাই-টেক পার্কের ছোয়া এসে সিলেট নগরীতেও পড়বে। এখানে গড়ে তোলা হবে আইসিটি ভবন। গড়ে তোলা হবে ইনফরমেশন সেন্টার।সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে একটি হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে আইটি খাতের উদ্যোক্তাদের আগ্রহীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র যৌথ উদ্যোগে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রবিবার সকাল দুপুরে মন্ত্রী চেম্বার কনফারেন্স হলে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ১০ টায় সেমিনার শুরু হয়।